বিকাশ অ্যাকাউন্ট হতে দুই মিনিটে টাকা উধাও

 





এতদিন আমরা এমন অহরহ ঘটনার কথা জেনেছি যে বিকাশের নাম দিয়ে প্রতারণার মাধ্যমে টাকা হাতিয়ে নিয়ে যাচ্ছে গ্রাহকের অ্যাকাউন্ট থেকে। 

কিন্তু এবার বিকাশের নাম ব্যবহার করে নয়, নয় কোন কোন ফেইক নাম্বার থেকে কল করে, কোন পিন নাম্বার বা কোড চেয়েও নয় এবার সরাসরি বিকাশ অ্যাকাউন্ট থেকে স্বয়ংক্রিয়ভাবে টাকা উধাও হওয়ার ঘটনা ঘটেছে কক্সবাজার জেলার মহেশখালী উপজেলার বড় মহেশখালী ইউনিয়নের বড় কুলাল পাড়ায়। 


বড় মহেশখালী ইউনিয়নের ৬নং ওয়ার্ডের

বড় কুলাল পাড়া গ্রামের বাসিন্দা জনাব মোহাম্মদ শাহা জাহান (২৮) নামের এক ব্যক্তি এই ঘটনার স্বীকার হয়েছেন আজ (৩১ ডিসেম্বর ২০২১,  শুক্রবার) সন্ধ্যায়। তিনি ডেইলি মহেশখালীকে জানান শুক্রবার বিকাল ৪টা ৪৪ মিনিটের সময় শাপলাপুর ইউনিয়ন হতে সে (শাহাজাহান) সহ তাদের তিনজনের কাজের টাকা বিকাশে পাঠানো হয়। এতে বিকাল ৪:৪৪ মিনিটের সময় টাকা তার মোবাইলে ৫ হাজার ১শ (৫,১০০৳) ক্যাশ ইন হয়েছে বলে মেসেজ আসলে সে নিশ্চিত হয় টাকা পেয়েছে। কিন্তু আসল ঘটনা ঘটেছে যখন মাগরিবের সময়ে তিনি টাকা উঠাতে গেলেন এজেন্ট এর কাছে। 


তিনি জানান, আমার বিকাশ অ্যাকাউন্টে টাকা আসার পরে আমি নিশ্চিতে থাকি টাকা এসেছে,যখন আমি বিকাশের এজেন্টের কাছে গেলাম টাকা উঠানোর জন্য, তখন এজেন্ট আমাকে বলল মোবাইলে টাকা নেই। টাকা ইতোমধ্যে উঠানো হয়েছে এবং টাকাটা সন্ধ্যা ৪:৪৬ সময় অন্য মোবাইলে পাঠানো হয়েছে। এতে বুঝা যায় টাকাটা মোবাইলে আসার ১মিনিট পর স্বয়ংক্রিয় পদ্ধতিতে অন্য মোবাইলে নিয়ে নেওয়া হয়েছে। এতে তিনি(শাহাজাহান)  প্রথমে যে নাম্বারে টাকা চলে যাওয়ার ঘটনা ঘটেছে ঐ নাম্বারে যোগাযোগ করা হলে ঐ প্রান্ত হতে ঢাকার টঙ্গী হতে জানান তার নাম্বারে কোন টাকা আসেনি। এতে তাঁকে বার বার ফোন দেওয়ার পরও টাকা গেছে বিষয়টি নিশ্চিত করেন নি সেই ব্যক্তি। এতে মোহাম্মদ শাহা জাহান বিকাশের কাস্টমার কেয়ারে যোগাযোগ করলে, বিকাশ কতৃপক্ষ ২ দিনের সময় চেয়ে বসেন। এতে এখনও জনমনে বিভ্রান্তির সৃষ্টি হয়েছে। 



বিষয়টি নিয়ে সৃষ্টি হয়েছে জনমনে বিকাশের প্রতি অনিশ্চয়তার। তারা জানান, বিকাশ ৪৮ ঘন্টার সময় নেওয়ার পর, অপরাধীরা পালানোর আরও সময় পেয়ে যায়। এতে পরে এই রকম টাকা কখনো ফেরত পাওয়ার আশা করা যায় না। 


এতে এলাকার আরও লোকেরা বলেন, বিকাশে এই রকম টাকা চলে যাওয়ার ঘটনা এই প্রথম শুনলাম। তবে আমরা এখন নিজের টাকার নিরাপত্তা নিয়ে শঙ্কিত। আগে আমরা নিশ্চিন্তে বিকাশে লেনদেন করার সাহস পেতাম, এখন হয়তো বিকাশের উপর সেই বিশ্বাস উঠে গেলো। এতে তারা আরও জানান,টাকা চলে গেছে ভালো কথা কিন্তু বিকাশের কাস্টমার কেয়ারে যোগাযোগ করে সরাসরি কোন সহায়তা পাওয়া যায়না। যেখানে বিকাশ কতৃপক্ষের উচিৎ সাথে সাথে অ্যাকশন নেওয়ার, সেখানে তারাও চেয়ে বসে ৪৮ ঘন্টার সময়। এতে যারা এ কার্যক্রমের সঙ্গে লিপ্ত রয়েছে তারা সহজেই পার পেয়ে যাচ্ছে সকলের কাছ থেকে। 


আগামীর বাংলাদেশ বিনির্মাণে অন্তরায় হয়ে দাঁড়াবে হয়তো বাংলাদেশ ব্যাংকের রিজার্ভ চুরির মত এই রকম দেশের ভিতরের ছোট ছোট বিষয়গুলো। 

সরকারের উচিৎ জনগণের স্বার্থে এই রকম বিষয়গুলো নিয়ে কোম্পানিকে সতর্ক করা। যাতে ভুক্তভোগীরা যোগাযোগ করার সাথে সাথে অ্যাকশন নেয়। 



ডিএম/বিকেপি-১


মন্তব্যসমূহ

জনপ্রিয় পোস্টসমূহ